এস.এম.শামীম, দিঘলিয়া খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ
দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ সাইফুর রহমান মিন্টুকে নিয়ে কয়েকটি জাতীয়, অনলাইন পত্রিকায় ইট ভাটার মালিকানা সংক্রান্ত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেসহ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বিএনপি নেতা।
রোববার (২১ সেপ্টম্বর) বেলা ১১ টায় দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে উপজেলা, ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। এতে উপজেলা আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ৪টি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে নেতাকর্মী উপস্থিত থেকে প্রকাশিত সংবাদটির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭টি বছর মিথ্যা মামলা, জেল জুলুম হুলিয়া সহ্য করে দিঘলিয়া উপজেলা ও খুলনা জেলার পথে প্রান্তরে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পতাকাকে উড্ডিন রেখেছি। ৫ই আগস্ট ২০২৪ ফ্যসিস্ট হাসিনার পতনের পর থেকেই কিছু কুচক্রী মহল আমার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ইষার্নিত হয়ে বিভিন্ন রকম কুৎসা রটনা, বিভিন্ন পত্রিকায় ভূয়া বানোয়াট মিথ্যা নিউজ এমন কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কল্পিত এডিট ও সুপার এডিটের মাধ্যমে ভিডিও প্রচার করে আমার জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আমি ১৯৮৭ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু করি। শুরু থেকে অদ্যবধী বি এন পি দিঘলিয়া উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারন সম্পদিক, সভাপতি, খুলনা জেলা বি এন পি’র যুগ্ম আহবায়ক এবং সর্বশেষ বর্তমানে দিঘলিয়া উপজেলা বি এ পির আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি সেনহাটি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আয়েতুন নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও অত্যান্ত সুনামের সহিত শিক্ষাকতা করেছি। আমি এইচ, এস, সি ও অনার্স সরকারী ব্রজলাল বিশ^বিদ্যালয় কলেজ ও সরঃ আযম খান কমার্স কলেজ থেকে মাষ্টার্স শেষ করি।
তিনি আরো বলেন,গত কয়েক দিন পূর্বে ও আমাকে নিয়ে কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইট ভাটার মালিকানা সংক্রান্ত একটি খবর ও থানার ওসি তদন্তের কক্ষে মিমাংসা বৈঠকের ভিডিও প্রকাশিত হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয় নগরঘাট মার্কেট ও গোডাউন এর মালিক ব্যাবসায়ী খলিল মাতুব্বর ও সেলিম রেজা ওরফে আব্দার এর সহিত বি এন পি নেতা মিন্টু মোল্যার সহিত ইট ভাটা সংক্রান্ত একটি বিরোধ চলমান। আরও অভিযোগ করা হয়। হেদায়েতের নিকট হইতে ১০ লক্ষ টাকার ইট নেন মিন্টু মোল্যা। যাহা সম্পূর্ন রুপে মিথ্যা ও বানোয়াট, প্রকৃত পক্ষে হেদায়েত নামে কোন ইট ভাটার মালিক নাই। আমি স্পষ্ট ভাবে বলছি যে খলিল মাতুব্বর ও আব্দার দুজনেই পরম আত্বীয় (শালা/ভগ্নিপতি) এবং ব্যাবসায়িক অংশিদার। এই দুইজনের সহিত আমার কোন ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক নাই। উক্ত খলিল মাতুব্বর পতিত ফ্যাসিষ্ট হাসিনার আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সদস্য ও অর্থ যোগানদাতা। এলাকার একজন প্রথম শ্রেনীর প্রতারক ও অসংখ্য নারী কেলেঙ্কারীর সহিত জড়িত। যাহার প্রমান তার ব্যাবসায়িক অংশিদার আব্দারের মাধ্যমেই এলাকায় প্রচারিত।
আরো বলেন,সংবাদে আরো অভিযোগ করা হয় আমি দলীয় নির্দেশনা মানছিনা, কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে এই সংবাদে অভিযোগ করা হয় সেটা দলীয় নির্দেশনা আসার প্রায় ১মাস পূর্বের ঘটনা, আমি দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে বলছি, আমি এই ঘটনার কোন শালিসদার নই। বাদী আমাকে স্বাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করায় আমাকে দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ওসি তদন্ত এর আমন্ত্রনে একজন স্বাক্ষী হিসাবে উপস্থিত হই। ঘটনাস্থলে আমার উপস্থিতি দেখেই বিবাদী খলিল উত্তেজিত হয়ে কুরুচিপূর্ন কথা বলিতে থাকে। অথচ সত্যকে আড়ালে নিয়ে বিভিন্ন সময় একই ভাবে আমাকে চাদাবাজ ভূমিদসু ও সন্ত্রাসীদের গড ফাদার হিসাবে প্রশাসন ও সাধারন মানুষের সামনে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদ্দিত ভাবে উপস্থাপন করার অপ প্রায়াশ চালানো হয় ।
তিনি আরো বলেন,আমি আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একজন সৎ ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি। গত ২০১৪ সালে দিঘলিয় উপজেলার চেয়ারম্যান হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করি। সরকারী ক্ষমতা বলে আমার বিজয়কে ছিনিয়ে নেয়া হয়। আমি সাধারন মানুষের পাশে থেকে আপনাদের কে সাথে নিয়ে দেশ নায়ক তারেক রহমানের নিদের্শিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও এই অঞ্চলের গন মানুষের নেতা আজিজুল বারী হেলালের হাতকে শক্তিশালী করতে চাই।
তিনি এ মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পাশাপাশি ভবিষ্যতে সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের আরও যত্নশীল হওয়ার অনুরোধ করেন ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ন আহবায়ক মোল্লা বিল্লাল হোসেন, গাজী জাকির হোসেন, মোল্লা নাজমুল হক, মোল্লা মনিরুজ্জামান, শেখ মোসলেম উদ্দিন, খন্দকার ফারুক হোসেন, মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দ মুকিত আলী, ডা: হাফিজুর রহমান,ইমরান হোসেন, সাফিউদ্দিন, বাদশা গাজী, মোহাম্মদ আলী মিন্টু, আরিফুল ইসলাম হাসান, মাহমুদুল হাসান মিঠু, কুদরতে এলাহী স্পিকার ,আব্দুল কাদের জনি প্রমুখ।।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.