শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ।
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ এর মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় দেবহাটা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: আবুবকর সিদ্দিক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান, উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার মিজানুর রহমান, মেরিন ফিশারিজ অফিসার মো: সাজ্জাদ হোসেন, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ছাত্র প্রতিনিধি মুজাহিদ বিন ফিরোজ। এছাড়া সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নির্মল কুমার গাইন, উপজেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় মৎস্যচাষিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান বলেন, “আমরা যদি মাছের ঘেরের পাশাপাশি ভেড়িতে সবজি চাষ করি তবে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবো।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আবুবকর সিদ্দিক তার বক্তব্যে বলেন, “সঠিক নিয়ম মেনে চাষ করলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। মাছ চাষের জন্য সঠিক জমি নির্বাচন, উন্নতমানের পোনা ব্যবহার ও সঠিক পরিচর্যা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে চিংড়ি চাষে নিয়ম জানা, সঠিক খাদ্য প্রয়োগ ও পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে।গত ৬ দিনের কার্যক্রম:
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে দেবহাটায় নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে—প্রথম দিন (১৮ আগস্ট): জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন, বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেলুন উড়ানো।
দ্বিতীয় দিন (১৯ আগস্ট): মৎস্যজীবীদের নিয়ে মৎস্য আহরণে স্থায়ীত্বশীল বৃদ্ধি বিষয়ক সেমিনার ।
তৃতীয় দিন (২০ আগস্ট): জনবহুল এলাকায় প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও চাষিদের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি। চতুর্থ দিন (২১ আগস্ট): স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের মৎস্য বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা।
পঞ্চম দিন (২২ আগস্ট): মৎস্য খাতে তরুনদের ভাবনা বিষয়ক সেমিনার।
ষষ্ঠ দিন (২৩ আগস্ট): বিভিন্ন পুকুরের মাটি পানি পরীক্ষা ও পরামর্শ প্রদান ।
সপ্তম দিন (২৪ আগস্ট): মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠান, দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন।দেবহাটার মৎস্য সম্পদের পরিসংখ্যান-
দেবহাটা উপজেলায় মোট ৫,৪০০টির বেশি মৎস্যঘের ও পুকুর রয়েছে।
এর মধ্যে প্রায় ৪,২০০ হেক্টর জমিতে চিংড়ি ও সাদা মাছের চাষ হচ্ছে।
উপজেলায় বছরে গড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে চিংড়ির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য। সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ১৫-২০ হাজার মানুষ মৎস্যচাষ ও মৎস্যনির্ভর জীবিকায় যুক্ত।
অভ্যন্তরীণ খাল ও নদী মিলিয়ে এখানে প্রাকৃতিক মাছ আহরণও স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল স্লোগান ছিলো-
“অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছের ভাণ্ডার ভরি।”
উপস্থিত বক্তারা সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামী দিনে মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই চাষে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.