খুলনা ব্যুরো প্রধান।
দিঘলিয়ার সেনহাটি ইউনিয়নের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান শিক্ষক কতৃক ভিপি জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে । সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় দিঘলিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী সভানেত্রী শামসুন্নাহার বেগম ও সেনহাটি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফরহাদ হোসেন মিলে সেনহাটি সরিষা পাড়া এলাকার ভিপি/ ডিসি আর এর জমি বিভিন্ন লোকের কাছে গোপনে বিক্রি করে আসছে। এবিষয়ে সরিষা পাড়া এলাকার জমি ক্রেতা আতিয়ার ও তার পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন শামসুন্নাহার ও ফরহাদ মাষ্টার এর সমন্বয়ে তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে মোট ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেছে , এবিষয়ে ক্রেতা আতিয়ার হোসেন জানান যে তাদের কে জমির মুল্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং ফরহাদ মাষ্টার বলেছেন যে আতিয়ার কে তার নামে দান পএ ও উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ডিসি আর করে দেওয়া হবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত সরিষা পাড়া এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায় ঐ এলাকার কালি মন্দির এর পিছনে একটি পুকুর পাড়ের ২ টি দাগে ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামসুননাহারের বসত ঘরের পিছনে থাকা ভিপি/ডিসি আর এর আরো ২ টি দাগে জমি বিক্রি হয়েছে। যার এস এ দাগ নং-২৩৮৭। আর এস ৫২৪৭।
এবিষয়ে সেনহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ৫২৪৭ ১/১ এ রয়েছে, আর এস খতিয়ানে মোট -১ একর ৩০ শতাংশ জমি রয়েছে যা কিনা সম্পুর্ন সরকারী। যার লিস কেস- ১২। ৭৯/৮০।
এবিষয়ে একজন ক্রেতার সাথে কথা বলে গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। এদিকে শামসুন্নাহারের কাছে ডিসি আর এর জমি বিক্রি করার কথা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন এবং তাৎক্ষণিক ভাবে মাস্টার ফরহাদ হোসেনকে ফোন কলে ধরিয়ে দিয়ে এড়িয়ে যান। কিন্তু ফরহাদ মাষ্টার ফোন কলে জানান উক্ত জমি বিক্রি করা হয়নি।
এবিষয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার সাথে সাথে শামসুন্নাহার প্রতিবেদক কে ফোন দিয়ে হুমকি স্বরূপ কথাবার্তা বলেন যা কিনা ফোন কলে রেকর্ড রয়েছে। এমন দুর্নীতিবাজ দের এধরণের অপকর্ম, লুটপাট, সরকারী সম্পত্তি বিক্রির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক এন আই নবী। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.