এস.এম.শামীম দিঘলিয়া খুলনা।
দিঘলিয়ার ব্রহ্মগাতী এলাকার বাসিন্দা মৃত: নজরুল ইসলাম এর পুএ কামরুল ইসলাম (৪০) এর বিরুদ্ধে লুটপাট, চাঁদাবাজী, সরকারী গাছ কাঁটা সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। দিঘলিয়া থানায় গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ এর সুএে জানা যায় দিঘলিয়ার ব্রহ্মগাতী-গোয়াল পাড়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নাক কাটি ৪.৪ কি:মি:খননের জন্য সাসটেইনএ্যাবেল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিস প্রকল্প এর আওতায় কাজ শুরু করার জন্য গত ২০২৪ ইং মে মাসে মো: কামরুল ইসলাম (৪০) উক্ত খাল খননের জন্য নিজেকে ঠিকাদারের লোক পরিচয় দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে অসৎ উদ্দেশ্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নাম ব্যাবহার করে সকল প্রকার গাছ কেটে নেওয়া ও খাল পাড়ের সকল স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য এক সপ্তাহের সময় দিয়ে খাল পাড়ের জমির মালিকগণদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করা হয়। বিষয়টি এলাকার কিছু সচেতন ব্যক্তি উপজেলা মৎস্য অফিস সহ মিডিয়া কর্মিদের জানালে তা বিভিন্ন পএ পএিকায় প্রকাশিত হয়।তবে কামরুল ইসলামের অভিনব কৌশলে উক্ত খাল পাড়ের বিভিন্ন প্রকার গাছ ভেকুর মাধ্যমে কেটে উপরে ফেলে। এমনকি খাল পরে বসবাসরত একাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন। এক পর্যায়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে উক্ত কামরুল ইসলামের নিকট সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সামান্য কিছু টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেও একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পায়নি কোন ক্ষতিপূরণ। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষতিপূরণের টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকাবাসীর চাপে উক্ত কামরুল ইসলাম একটি খসড়া তালিকা তৈরি করেন যেখানে তালিকায় ৫১ জনকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে এবং কাকে কত টাকা দিয়েছেন সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে তবে উক্ত তালিকায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে গোনা কয়েকজনের নাম থাকলেও বাদবাকি নাম রয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের। এ বিষয়ে ২১ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি দিঘলিয়া থানায় তাদের ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে ক্ষতিপূরণ পাননি এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই কামরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে
ব্রহ্মগাতী সরকারি বিল রাস্তার পাশের সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তৃপক্ষের অগোচরেই কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার ব্রহ্মগাতী গ্রামের সরকারি বিলের রাস্তার পাশে বন বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করে সামাজিক বনায়ন করা হয়। রাস্তার পাশ দিয়ে কড়াই, মেহগুনি, কালি বাবলাসহ নানা জাতের বনজ গাছ লাগানো হয়। কিন্তু উক্ত সামাজিক বনায়ন কমিটির কতিপয় স্বার্থান্বেষী সদস্য এলাকার একটি মহলের সাথে আঁতাত করে কয়েক হাজার টাকার গাছ লুটপাট ও বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কিছু গাছ উপজেলা বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে উপজেলায় নিয়ে এসেছে। কিছু গাছ কয়েক জায়গায় স্তুপ করে রাখা হয়েছে। যে কাঠের লকগুলো হাজীগ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী হাসানের নিকট বিক্রি চুক্তি করেছে ব্রহ্মগাতী গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের পুত্র কামরুল ইসলাম। এবিষয়ে উপজেলা বন কর্ম কর্তা একটি মামলা করেছে বলে জানান। এমনকি গত ১৬/১/২০২৫ ইং উক্ত কামরুল ইসলামের নামে দিঘলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন ব্রহ্মগাতী এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম শেখ এর পুএ ইবনুল হাসান (৪৩) তিনি সাধারণ ডায়েরী তে উল্লেখ করেন উক্ত কামরুল ইসলাম এর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল এক পর্যায়ে গত ১৬ ই জানুয়ারী ২০২৫ ইং উক্ত কামরুল ইসলাম ও একই এলাকার খয়বার শেখ মিলে ইবনুল হাসান (৪৩) কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর এমনকি প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়ে ইবনুল হাসান দুজনের নাম উল্লেখ করে দিঘলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং-৭১৯ তাং ১৬/১/২০২৫ ইং উক্ত কামরুল ইসলাম শুধু এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি এলাকায় গড়ে তুলেছে মাদকের সর্গ রাজ্য, লুটপাট, যাকে তাকে ভয় ভীতি মামলা হামলা চালিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় ব্রহ্মগাতী এলাকার বাসিন্দা গন কামরুল ইসলাম এর এহেন কর্ম কান্ডের থেকে পরিত্রাণ চেয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সকল পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক এন আই নবী। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.