শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনিক দ্বিতীয় তলা ভবনে ,ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাহী অফিসার আসাদুর রহমান।
বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোঃ আব্দুস সাত্তার, ডুমুরিয়া উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সেক্টার মোঃ মনির হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন, শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মোড়ল, শরিফুল ইসলাম, ইন্জিনিয়ার রাসেল এ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন, প্রমুখ।
আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাধীনতা চত্বর মাঠে ফায়ার সার্ভিসের মহড়া অনুষ্ঠিত হয় ।
উল্লেখ্য উপকূলজুড়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় বহুমুখী সংকট ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে অন্যান্য বছরের মত এবারও পালিত হচ্ছে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০২৫। ‘দুর্যোগের পুর্বাভাস প্রস্তুতি, বাঁচায় প্রাণ ক্ষয়ক্ষতি-এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আজ (১০ মার্চ) পালিত হচ্ছে দিবসটি।
দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ থেকে শুরু করে নানান কর্মসূচি নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বছর ঘুরে বার বার জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস মনে করিয়ে দেয় দুর্যোগ প্রস্তুতির কথা, দুর্যোগ বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির কথা। এ দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে দুর্যোগ প্রস্তুতি জোরদার করার তাগিদ আসে। প্রতিবছর দুর্যোগ সচেতনতায় এমন আরো অনেক দিবস পালিত হলেও দুর্যোগে মানুষের ভয় কাটে না। সাইক্লোনের সিগন্যাল পেলে এখনো আতংক ছড়ায় উপকূলের মানুষের মনে।
২০০৭ সালের সাইক্লোন সিডর, ২০০৯ সালের সাইক্লোন আইলা, ২০২০ সালের আম্ফান উপকূলের মানুষদের মনে এখনো ভয় নিয়ে আসে। ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী সাইক্লোন বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করেছিল প্রচন্ড শক্তি নিয়ে। এ সাইক্লোনটি পৃথিবীর ইতিহাসে এখন অবধি সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতি বলে জানাচ্ছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। ১৯৯১ সালের সাইক্লোন উপকূলে আঘাত করেছিল। এ ছাড়াই উপকূলের আঘাত করেছে আরো অনেক সাইক্লোন। এসব সাইক্লোনে বিপুল পরিমাণ জান ও মালের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি থাকলে এই ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব ছিল।
২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি ১০ মার্চকে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস হিসেবে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসেবে ৯ বছর ধরে এ দিবসটি যথাযোগ্য আয়োজনের মাধ্যমে দেশব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস থাকা সত্বেও জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, কেননা, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। দুর্যোগের আঘাতে আমাদের দেশে প্রতিবছর বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। শুধু উপকূল অঞ্চল নয়, গোটা দেশই এখন দুর্যোগের মুখোমুখি। ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে মার্চ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন করা হয়ে আসছিল।
মন্ত্রিসভায় দিবসটি পালনের অনুমোদন দেওয়া হয় ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর। ২০১৫ সালে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ছিল একই দিনে (অর্থাৎ ২৬ মার্চ)। এ কারণে ওই বছর ৩১ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস হিসেবে পালিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্মতিপত্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে মার্চের শেষ সপ্তাহের পরিবর্তে অন্য কোনো দিনে এটি উদযাপন করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়। এরই আলোকে ১০ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস হিসাবে নির্ধারিত হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক এন আই নবী। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.