শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।
একটি মেশিনে ইট তৈরি করতে ৮ জন শ্রমিকের লাগে। মেশিন তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় লোহা আর এ কাঁচামাল আনা হয় ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে।
ডুমুরিয়া উপজেলার ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি/ সম্পাদক সহ নতুন কমিটি উপজেলার বিভিন্ন ইট তৈরি করা ভাটা গুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিদর্শন করেছেন, পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান জমাদার, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার সরদার, কোষাধ্যক্ষ মোঃ কামরুল ইসলাম ওআজিজুর রহমান মোড়ল সহ আরো অনেকে।
ডুমুরিয়া উপজেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান জমাদার বলেন বিসিক শিল্প নগরীতে স্বয়ংক্রিয় ব্লক ইটের মেশিন তৈরি করা হচ্ছে। এফ.কে হাইড্রোলিক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস নামের একটি প্রতিষ্ঠান অটোমেটিক ইট বানানোর এই মেশিন তৈরি করছে।
খুলনার ডুমুরিয়াউপজেলাসহ বাগেরহাট সাতক্ষীরা যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে তাদের তৈরি করা ইট। মেশিন তৈরির পাশাপাশি ব্লক ইট তৈরির কলাকৌশল শেখানোর উদ্যোগও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিসিক শিল্প নগরীর পশ্চিম প্রান্তে বিশাল কারখানায় ৮ জন শ্রমিক আর একজন প্রকৌশলী মিলে দিন রাত কাজ করে তৈরি করছেন অটোমেটিক ইট তৈরির মেশিন।
পাইলটিং হিসেবে প্রকল্পটি ২০০০ সালে জুন থেকে চালু করেন জব্বার ইট ভাটা পাইলটিংয়েই পেয়েছেন সফলতা। তার কারখানায় উৎপাদন করা ইট। আসছে একের পর এক অর্ডার।
ওই কারখানার প্রকৌশলী বলেন, "একটি মেশিন ইট তৈরি করতে ৮ জন শ্রমিকের লাগে। মেশিন ইট তৈরির করার পর ইট শুকিয়ে মেশিনে দিয়ে তৈরি করা হয়।
তিনি আরো জানান, একটি মেশিনে রয়েছে তিনটি চেম্বার- মিক্সার মেশিন, কনভেয়ারবেল্ট, হাইড্রোলিক প্রেস। তিন প্রকারের (অটো, সেমি অটো ও ম্যানুয়াল) মেশিনই এই কারখানায় তৈরি করা হয়।
আকার ও প্রকারভেদে প্রতিটি মেশিন তৈরিতে খরচ পড়ে ৮ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ২২ লাখ টাকায়। খরচ বাদে প্রতিটি মেশিন থেকে লাভ হচ্ছে ৪ থেকে ৭ লাখ টাকা।
যারা মেশিন ক্রয় করবেন তাদেরকে কারখানাতেই ওই মেশিন ব্যবহারের কলাকৌশল হাতে কলমে শেখানো হয়। এজন্য কারখানার পাশেই রয়েছে অটোমেটিক মেশিন দিয়ে ইট তৈরি প্রদর্শনি কারখানা।
ইট তৈরির কাঁচামাল দেওয়া হয় মিক্সার মেশিনে; এরপর কনভেয়ারবেল্টের সাহায্যে তা চলে যায় মূল মেশিনে। সেখান থেকে ইট প্রস্তত হয়ে হাইড্রোলিক প্রেসের মাধ্যমে বাইরে বেড়িয়ে আসে। এরপর সাড়ি সাড়িভাবে সাজানো হয় ইটগুলো। প্রস্তুত করা ইটগুলোতে পানি দিয়ে কিউরিং করে তারপরই তা বিক্রির উপযোগী হয়।
জেসি ব্রিকস কৈয়া, মালিক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফারুক বলেন, "অটোমেটিক ইট তৈরির মেশিন উৎপাদন একটি পাইলটিং প্রকল্প ছিল কিন্তু পাইলটিংয়েই বেশ সাড়া পেয়েছি। এ বছর থেকেই মূল উৎপাদনে যাওয়ার সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে যেমন লাভবান হওয়া যাবে তেমনি ইট প্রস্তুতে ছোট ছোট উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। যারা অল্প পুঁজি নিয়েই ইট প্রস্তুতের কারখানা তৈরি করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, "আগে চীন থেকে এই মেশিন কেনা হতো। দাম যেমন বেশি ছিল তেমনি আমদানি করাও ছিল দুষ্কর।"
তার কারখানায় বর্তমানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বড় পরিসরে উৎপাদনে গেলে আরও শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। ভবিষ্যতে এই মেশিনের দাম আরও কমিয়ে নিয়ে আসা যাবে বলেও জানান তিনি।
এই মেশিন তৈরির ফলে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক এন আই নবী। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.