রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, পশ্চিমবঙ্গ
আজ ১১ ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত জঙ্গলমহল এলাকার শালবনী ব্লকের গোদা পিয়ালশাল মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে চালু হলো স্বয়ংক্রিয় ঘন্টা। যা ছাত্রছাত্রীদের মনোগ্রাহী করবে । বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিনব উদ্যোগ , শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই একটি নতুন মাধ্যমকে হাতীয়ার করে চলছে ক্লাস সিডিউল। পাশাপাশি স্কুল ছুট এরও সংখ্যা কমবে বলে আশাবাদী স্কুল শিক্ষকরা।
প্রার্থনা থেকে প্রতিটি পিরিয়ডের শেষে আপনা আপনি বেজে উঠছে এই ঘন্টা, সাথে সুমধুর কন্ঠে ক্লাস শেষ ও শুরুর নির্দেশ। শুধু তাই নয়, মিড ডে মিল আহারে যাওয়ার নির্দেশ বা প্রার্থনাতে অংশ নেওয়ার নির্দেশ সব কিছুই ঘোষিত হচ্ছে এই মাধ্যমে। এরকম একটি উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষক শিবপ্রসাদ কুন্ডু ও মনিকাঞ্চন রায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এটি ছাত্র ছাত্রীদের কাছে শ্রুতি মধুর হয়ে উঠেছে।
বিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীরাও সেকথা জানিয়েছে, বিদ্যালয় ক্যাম্পাস মুখরিত হয় এরকম একটি স্বয়ংক্রিয় ঘন্টার ধ্বনিতে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূপাল প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, একটা নতুন ভাবনা, নতুন উদ্যোগ , ছাত্ররা এতে ভীষণ খুশি , বিদ্যালয় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধ্বনি চালু থাকে, মূল উদ্যোগ যাদের তাদের কথায় এটা কাউকে অপারেটরও করতে হয় না। একটা সুইচ দিলে আপনা আপনি কাজ করবে, এই সুন্দর ঘন্টার ধ্বনির এই জেলারই সবং এবং ভেমুয়া হাই স্কুলে চালু দেখে শিবপ্রসাদ বাবু যোগাযোগ করেন।
ওই স্কুলের শিক্ষক সুরজিৎ বাবুর কাছ থেকে বুঝে নিয়ে, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে মনিকাঞ্চনবাবুর তত্ত্বাবধানে চালু হয়েছে এবং একটি প্রয়াস। আগামী দিনে হয়তো এই ভাবে একের পর এক প্রতিটি স্কুলেই চালু হয়ে যাবে এই ধরনের ঘন্টা আশা করছেন অনেকেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক এন আই নবী। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.