শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ।
খুলনা সাতক্ষীরা হাইওয়ে এখন এ অঞ্চলের জনজীবনে মৃত্যুর ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতি কিলোমিটার ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তা নির্মাণের একবছরেই ভাঙা শুরু, দুই বছরে গর্ত, তিন বছরে খানাখন্দ, চার বছরে কর্দমাক্ত,
প্রায় প্রতিদিন গাড়ি উল্টে যাচ্ছে, প্রাণহানি ঘটছে, উপায় নেই, এভাবেই চলতে হচ্ছে।
ডুমুরিয়ার একজন গুনি মানুষ হারুন-অর-রশীদ খান বলেন, তবে আর কতো দিন?
খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কটি দেখভালের জন্য কোনো কর্তৃপক্ষ আছে কী?
জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি রাস্তার কোনো নমূনা নেই, বলা যায় চাষ করা ফসলের ক্ষেত। বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা যেনো খালে পরিনত হয়েছে। রাস্তার অসংখ্য স্থান ভাঙাচোরা, গর্ত, ডোবা কাদায় ভরা। এছাড়া জিরো পয়েন্ট থেকে চুকনগর হয়ে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রাস্তার অসংখ্য স্থানে ভাঙাচোরা, খানাখন্দ, কাদা পানি ইত্যাদি নিয়ে চলছে বহুদিন, তবুও মেরামতের উদ্যোগ নেই। কয়েক বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলছে। ভাঙাচোরা রাস্তার কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় যাত্রীরা প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। এর থেকে পরিত্রাণের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। যা অত্যন্ত বিব্রতকর ও দুঃখজনক বটে
বুঝলাম বিগত ফেসিস্ট আমলে দুর্নীতির মহাযজ্ঞে এসব হয়েছে। তা এখনকার স্বপ্নময় সরকার বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানানোর আগে দয়া করে আমাদের এই গলার কাটা খুলনা-সাতক্ষিরা সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে দিচ্ছেন না কেন? এক বছর পার হয়ে গেলো এখন তো আর কোমরে কুলোচ্ছে না।
জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন সড়কের অবস্থা দেখলে বর্তমান দেশের অবস্থায় অনেকটা সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। নিকট ভবিষ্যতে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে কিনা তা বোঝা মুশকিল।
কেউ কি আছেন? যারা নিজেদের কর্তৃপক্ষ ভাবেন, তারা কি একটু চোখ মেলে তাকাবেন? প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ আর প্রাণহানি থেকে বাচাতে দয়া করে এগিয়ে আসুন।।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.