খুলনা প্রতিনিধি বাংলারচেতনা নিউজ।
খুলনার হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার সেন্টারে চরম অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রথম পক্ষ, ডাক্তার এস. এম. আব্দুস শামীম এর নিকট হতে দ্বিতীয় পক্ষ—নাজমুল হোসেন এবং মিজানুর রহমান মানিক ক্লিনিকটির অচল অবস্থা দূর করনে ১ বছরের লিজ নেন।কিন্তু সেই চুক্তি রক্ষা না করেই ডাক্তার শামীম গত ৪ আগস্ট ২০২৫ হাসপাতালের ফটকে খামখেয়ালী তালা ঝুলিয়ে দেন এবং ঘোষণা করেন, তিনি হাসপাতালটি আর চালাবেন না।আর এ কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে লিজ নেওয়া দ্বিতীয় পক্ষ অর্থাৎ ক্লিনিক টির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় পক্ষ নাজমুল হোসেন ও মিজানুর রহমান মানিক এর নেতৃত্বে হাসপাতালটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হাসপাতালের সামনের ফটকের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন।
তাদের বক্তব্য তারা গত ২ মাস কোন বেতন পাননি এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ ও হাসপাতাল কার্যক্রম পুনরায় চালুর দাবি জানান।
নার্স শিরিন আক্তার বলেন, আমরা দীর্ঘ ২ মাস ধরে বেতন পাইনি।পরিবার ও সন্তানদের দেখাশোনা করা কঠিন হয়ে গেছে। হাসপাতালের কার্যক্রম পুনরায় চালু সহ আমাদের বকেয়া বেতন দ্রুত দিতে হবে।
”কর্মচারী রাশেদ মোল্লা বলেন, “হাসপাতাল বন্ধ থাকায় আমরা কাজ করতে পারছি না। আমরা চাই হাসপাতাল পুনরায় চালু হোক এবং বেতন পরিশোধ করা হোক।”
এ বিষয়ে ডাক্তার এস. এম. আব্দুস শামীম বলেন,“দ্বিতীয় পক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিলো এটা সঠিক কিন্তু চুক্তিতে যে শর্তগুলো উল্লেখ ছিল তারা তা শতভাগ না মানায় আমি হাসপাতালটি বন্ধ করে দেই। বিষয়টি সোনাডাঙ্গা থানা অবগত আছেন বলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন। খুব শীঘ্রই বিবদমান এই পরিস্থিতি মীমাংসা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.