মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা থেকে,
খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫ টি ওয়ার্ডের ডিলার পয়েন্ট পরিদর্শন করেন খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন। এসময় সঠিক নিয়মে চাল আটা বিক্রি এবং উপকার ভোগীদের ভিড় দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে এক ডিলারকে অর্ধ লক্ষ্য টাকা জরিমানা ও ৩ দিন চাল আটা বরাদ্দ বন্ধ ঘোষণা করেন। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঝটিকা পরিদর্শন করেন। যে সকল পয়েন্ট পরিদর্শন করেন সেগুলো হচ্ছে
২০ নং ওয়ার্ডে মেসার্স ছালাম এন্টারপ্রাইজ মালিক আঃ ছালাম ঢালীকে ৫৮ হাজার ৯ শ ১১ টাকা জরিমানা এবং আগামী ৩ দিন পয়েন্টে চাল আটা বরাদ্দ স্থগিত করেন। ডিলার সালামের ভাই মিন্টু বলেন, আমাদের পয়েন্টে খুব সকাল থেকে ৩/৪ শ লোকজন এসে হাজির হয়। সিরিয়াল মোতাবেক ৪/৫ জন লোক চাল আটা বিতরণ করি,যে কারণে মাঝে মধ্যে সাড়ে ১১ বা সাড়ে ১২ টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়। হঠাৎ ডিসি ফুড স্যার এসে লোকজন
শুন্য পয়েন্ট দেখে আমাদের জরিমানা করেছে।
সোমবার পরিদর্শনকৃত অন্য পয়েন্ট হলো ২১ নং ওয়ার্ডে মেসার্স কনিকা এন্টারপ্রাইজ মালিক বিদ্যুৎ রায়,২২নং ওয়ার্ডে মেসার্স ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ মালিক খলিদ হোসেন রাজন,২৩ নং ওয়ার্ডে মেসার্স কাশফিয়া এন্টারপ্রাইজ মালিক মোঃ গোলাম মোর্শেদ,২৪ নং ওয়ার্ডে মেসার্স রুবেল ষ্টোর মালিক নিশাত পারভীন।
ওএমএস ডিলার পয়েন্টে খাদ্য দপ্তরের
বড়ো অফিসার পরিদর্শন করায় উপকার ভোগীরা ধন্যবাদ জানান। তারা আরও বলেন,ফুডের বড় বড় অফিসাররা এই ভাবে প্রতিদিন যদি প্রত্যেকটি পয়েন্ট পরদর্শন করতেন তাহলে আমরাও অনেক খুশি হতাম। ডিলাররা বলেন, এভাবে ডিসি ফুড স্যার মাঝে মধ্যে পয়েন্টে আসলে আমাদেরও জবাবদিহিতা একটু কমে যায়। আমরা প্রতিদিন সকাল থেকে মাল বিক্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পয়েন্টে থাকি।
তাছাড়া তদারকি কর্মকর্তা তো সারাক্ষণ পয়েন্টে বসে থাকে।
তাছাড়া তদারকি কর্মকর্তার পাশাপাশি মনিটরিং কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে ২/৪ বার এসে পয়েন্টেনউপস্হিত হয়ে মনিটরিং করে থাকে।
সার্বিক বিষয় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন বলেন,মহানরীতে ওএমএস ডিলার পয়েন্ট গুলোতে সুষ্টভাবে চাল-আটা বিতরণ হচ্ছে। আমরা ঝটিকা পরিদর্শনে পয়েন্টে পয়েন্টে জনগণের উপচে পড়া ভিড় দেখতে পেয়েছি।
চলতি সপ্তাহে বাকি পয়েন্ট গুলো পরিদর্শন করবো। সর্বপরি আমাদের ঝটিকা পরিদর্শন অব্যহৃত থাকবে। যদি কখনও কোন ডিলার বা তদারকি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নিতীর ছাপ পাই,তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহন করবো। ইতি মধ্যে মাষ্টার রোল গড়মিল,মাষ্টার রোল খাতার পৃষ্ঠা ফাকা,সোয়া ১২ টার আগে জনগণ শুন্য পয়েন্ট, স্হায়ী দোকান নেই, সাড়ে ৮ শ কেজি চাল আটা মজুত রাখার কারনে ৩ দিন বরাদ্দ বন্ধ ও জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.