রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
আজ ৬ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার, ঠিক সকাল ১১ টায়, যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের ডাকে, কলকাতা ময়দান মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে যখন জমায়েত হচ্ছিলেন সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা, এবং সেখান থেকে মিছিল করে তারা কালীঘাট অভিযানে যাবেন, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ও সাক্ষাৎকারের দাবী নিয়ে দুপুর ১২ টায়, কয়েকশোর যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা জমায়েত হয়েছিলেন, ঠিক সাড়ে এগারোটা নাগাদ, পুলিশ অফিসারেরা কয়েকশো পুলিশ বাহিনী নিয়ে তাহাদেরকে অভিযান করতে দেবেন না বলে জানান, সাথে সাথে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর জুলুম ও গ্রেপ্তার করেন, শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে অন্যায় ভাবে চ্যাংদোলা করে ভ্যানের মধ্যে তুলেন, যাহারা বেশ কিছুদিন ধরে ধর্মতলা ওই চ্যানেলে ঝরনা মঞ্চে প্রতিবাদ করে এসেছিলেন, আজ তারা এই অভিযানে গ্রেফতার হন,
যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষিকারা জানান, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলাম আমাদের দাবী নিয়ে, আমরা এই অভিযানের জন্য লালবাজারে পারমিশনও চেয়েছিলাম কিন্তু আমরা না পাওয়ায় আমরা মেইল করি, আমাদেরকে রিটার্ন কিছু দেওয়া হয়নি, কিন্তু আমরা কোনরকম জুলুমবাজি করিনি, প্রশাসনের লোকেরা আমাদের উপর জুলুমবাজি থেকে শুরু করে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করেছে। এমনকি শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়েছে।
যখন ২০০ থেকে আড়াইশো শিক্ষক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলা হয়, তখন কয়েকশো শিক্ষক-শিক্ষিকা অন্য রাস্তা ধরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করে অন্য রাস্তা দিয়ে ময়দান 4 নম্বর মেট্রোর কাছে আসছিলেন, তখনো কয়েকশো পুলিশ ধাওয়া করে বেশ কিছুকে গাড়িতে তুলে নেয়, এমনকি মেট্রোর ভেতরে গিয়েও গ্রেফতার করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকারা থেমে থাকেননি, অবিলম্বে যাদের গ্রেফতার করছে তাহাদের না ছেড়ে দেওয়াই, কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষিকা ধর্মতলার ডড়িনা ক্রসিং অবরোধ করেন ও বসে পড়েন, বেশ কিছুক্ষণ আন্দোলন করার সময় প্রশাসনের অফিসাররা তাদেরকে রাস্তার উপর থেকে সরে যেতে বলেন, কিন্তু তাহারা কোনরকম কর্ণপাত না করায়, পুনরায় পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে এবং লাঠি দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে। সমস্ত ধর্মতলায় যানজটের সৃষ্টি হয়, সমস্ত রাস্তায় গাড়ি আটকে পড়ে। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন অন্যায় ভাবে পুলিশ দিয়ে আমাদের উপর জুলুম করা হয়েছে এবং আমাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে এর সাথে সাথে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজে জানা যায়, যদি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সাথে সাক্ষাৎ না করেন এবং আলোচনা না করেন, তাহলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় আমরা কোনরকম স্কুলে যাব না। এবং ডিউটি করব না, তাহাদের দাবী স্কুল সার্ভিসের পশ্চিমবঙ্গ, একাদশ দ্বাদশ এবং নবম দশম শ্রেণী ২০১৬ এস এল এস টি তে নিযুক্ত দুর্নীতিমুক্ত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মানের সহিত চাকরিতে বহাল রাখতে হবে। আজ প্রায় চার থেকে পাঁচশো শিক্ষক শিক্ষিকাদের গ্ৰেফতার করে।
রাজ্য সরকার, এস এস সি পর্ষদের আইনজীবীগণকে দুর্নীতি মুক্ত ও যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষে সব রকম সঠিক তথ্য সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক এন আই নবী। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.